বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
লাইলাতুল কদর বা শবেকদর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার জন্য বিশেষ পুরস্কার। এ রাতে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা রহমত, কল্যাণ ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ রাতের নামেই একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। এ রাতের ফজিলতের জন্য এটাই যথেষ্ট।
এ রাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আল-কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা: কদর, আয়াত : ১-৩)
তাফসিরের বিভিন্ন গ্রন্থে সুরা কদরের শানেনুজুল বা প্রেক্ষাপট নিয়ে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ বর্ণনা হলো, একবার নবী করিম (সা.) সাহাবিদের বনি ইসরাঈলের এক বুজুর্গের কাহিনি শোনালেন। যে বুজুর্গ একটানা ৮৪ বছর অথবা হাজার মাস পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেন। এই কাহিনি শুনে সাহাবিরা বিস্ময় বোধ করলেন এবং আফসোস করেন। তাঁরা বলেন, আগের উম্মতরা দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে নেকির পাহাড় অর্জন করত, কিন্তু আমরা তো অল্প দিন আয়ু লাভ করি। সত্যিই আমরা হতভাগ্য। তাদের অনুশোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এই সুরা নাজিল করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর দান করেছি। এই এক রাতে ইবাদত করলে পূর্বকালের দীর্ঘ ইবাদতের চেয়েও বেশি পূণ্য অর্জন করা যায়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/৪৪২-৪৪৩, সুরা কদর)
শবেকদরের আমল
রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশায় এ আমলগুলো করা যায়। তা হলো—১. নফল নামাজ পড়া। ২. মসজিদে ঢুকেই দুই রাকাত দুখুলিল মাসজিদ নামাজ পড়া। ৩. দুই দুই রাকাত করে মাগরিবের পর আউওয়াবিনের নামাজ পড়া। ৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া। ৫. শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। ৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া। ৬. তাওবার নামাজ পড়া। ৭. সালাতুল হাজাত পড়া। ৮. অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া। ৯. কোরআন তিলাওয়াত করা। ১০. দরুদ শরিফ পড়া। ১১. তাওবা-ইস্তিগফার পড়া। ১১. জিকির-আজকার করা। ১২. পরিবার-পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা। ১৪. বেশি বেশি দান-সদকা করা।
ভয়েস/আআ